শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বাবা দিবস হোক প্রতিটি দিন

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ১৬:৪৩

‘বাবা’ এমন একজন, যার হাত ধরে হাঁটতে শেখা, পৃথিবীর কঠিন পথে চলতে শেখা। বাবা মানে অসীম স্নেহ, ভালোবাসা ও যত্ন, যার কাছে কোন আবদারই ফেলনা নয়। বাবা মানে এমনই একজন বন্ধু, এক বটবৃক্ষ, যার ছায়া তলে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সন্তানেরা জিরোতে পারে পরম নিশ্চিন্তে।

বাবাদের কথা উঠলেই মাথায় আসে শত ত্যাগ স্বীকার করা নিঃস্বার্থ এক মানুষের কথা। এতটুকুই কি বাবাদের পরিচয়? খেলার মাঠে ব্যথা পেলে উঠে দাঁড়ানোর সাহস দেওয়া, অসুখ-বিসুখে মাথায় হাত বুলিয়ে নিদ্রাহীন রাত কাটানো মানুষটিকে আমরা ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারি আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টায়, মমতাময় আচরণে। 

মা-বাবার কাছে সন্তানের যে ঋণ, তা কখনই পূরণ করা সম্ভব নয়। তবু ভালোবাসার প্রতিদানে শুধুমাত্র বাবাদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ দিন – তা হল প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রোববার, বাবা দিবস। বাবা দিবস প্রথমবার পালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই তারিখে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। সেই থেকে আজ অব্দি বিশ্বের প্রতিটি অংশেই বাবা দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী উদযাপিত এই দিনটার সকল পরিকল্পনা হয় বাবাদের ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে যায় বাবাদের সাথে সুন্দর সব মুহূর্তের ছবি আর গল্পে। অনেকেই কেক কাটেন, কিংবা পরিবারের সকলে মিলে খেতে যান নামী কোনো রেস্টুরেন্টে। এসবের মাঝে বাবা দিবসের উদযাপনের আরেকটি বিশেষ দিক থাকে বাবার জন্য বিশেষ কোনো উপহার।

ছোটবেলা থেকে যিনি শত আবদার পূরণে আমাদের হাজারও উপহার দিয়ে আসছেন, তার জন্য উপযুক্ত উপহার খুঁজে বের করার কাজটি অনেকের জন্যই কঠিন। কখনও জামাকাপড়, কখনও তার প্রিয় বই, আর কখনও তার পছন্দের গ্যাজেট – সময়ের সাথে সাথে উপহারের তালিকাও ছোট হয়ে আসে। আবার কর্মব্যস্ততার মাঝে উপহার নিয়ে লম্বা প্ল্যান করার কথা খেয়াল থাকেনা অনেকেরই।

কিন্তু বাবা দিবসে বাবাকে দারুণ কিছু উপহার না দিলে তো চলেই না। হালের অনলাইন মার্কেটপ্লেস আর ডিজিটাল শপগুলো এক্ষেত্রে অনেকেরই শেষ মূহুর্তের প্ল্যানের অংশ হতে পারে। যেমন ফুডপ্যান্ডার ‘শপস’ যেখানে ইউনিমার্ট, মিনা বাজার, আমানা বিগ বাজার ও দেদার সুপার শপ-সহ জনপ্রিয় বিভিন্ন আউটলেট থেকে যেকোনো পছন্দের গিফট আইটেম অর্ডার করা যেতে পারে। এছাড়া শপস থেকে –বাবাদের পছন্দের খাবার, ব্যক্তিগত প্রসাধনী অথবা প্রিয় লেখকের কোন বই অর্ডার করা যেতে পারে। বাবা দিবসের বিকল্প উপহার হতে পারে চশমা, ফটো ফ্রেম, বাবার প্রিয় গানের সংগ্রহ, অথবা সুন্দর কোনো পেইন্টিং। সাথে একটু ফুলেল ভালোবাসা যোগ করতে চাইলে তাও পাচ্ছেন পুষ্প ক্রিয়েটিভ ও আমোর ফ্লাওয়ার শপের মত দোকানগুলোতে। আর গতানুগতিক গিফট আইটেমস এর বাইরে কোনো প্রিয় স্ন্যাক্স আইটেম, এমনকি বাবার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ঔষধটিও চাইলে কেনা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। পৃথিবীর সব সন্তানেরা বাবার জন্য কিছু করতে পারলে, আনন্দ পায় অনেক সেটা যদি খুব ছোট উপহারও হয়।
 
সন্তানদের বেড়ে ওঠার প্রতিটি দিন, প্রতিটি অধ্যায়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাবা। তাদের আদর্শে সন্তানেরা ভালো-মন্দ বুঝতে শেখে। পরবর্তীতে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে অনন্য ভূমিকা রাখে বাবাদের শেখানো এই আদর্শ। আমাদের সব সময় সযত্নে আগলে রাখা এই মানুষটি আমাদের সবার জীবনের “সুপার-হিরো”, তাই তাদেরকে মুখে হাসি ফোটাতে আসছে বাবা দিবসে একটু বিশেষ চেষ্টা করা যেতেই পারে। 

ইত্তেফাক/এআই