ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এডিস মশা। তাই মশা নিয়ন্ত্রণই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ তথা তার প্রকোপ কমানোর প্রধান উপায়। মশার প্রজনন ক্ষেত্র বা ডিম পাড়ার স্থান যা-ই বলি না কেন, এগুলোকে আগে ধ্বংস করতে হবে। বড় বড় ভবনের আশপাশে, কোণায় কোণায়, ডাস্টবিন ও এর আশপাশের স্থান; এমনকি ঘরের হাঁড়ি-পাতিল, বদনা এসব স্থানেও যেন চার-পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক নয়, শুধু প্যারাসিটামল ডেঙ্গু রোগীর জ্বর কমাতে সাহায্য করে। এ সময় রোগীকে প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে। দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস ইত্যাদি রোগীর জন্য সহায়ক।
— অমিত বণিক
গবেষণাকর্মী, ঢাকা
সামান্য মশার বিরুদ্ধে কেউ পারছে না, এটা বিশ্বাস করতে অবাক হতে হয়। শুরু থেকে যদি নিয়মিত অভিযান করতে পারতো সিটি করপোরেশন, তাহলে আজ এমন অবস্থা হতো না।
— ফাহাদ
যশোর
শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে আমাদের যথাযথ সচেতনতা ও সতর্কতার ঘাটতি এবং দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীন কার্যক্রম ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বংশবৃদ্ধির পথ সুগম করে। এক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হয়ে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চিকিত্সাসেবা কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাটাও অত্যন্ত জরুরি।
— আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া, সদর, বান্দরবান
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে পারে, সেসব যেমন ফুলদানি, অব্যবহূত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। মশা নিধনের স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে।
— মো. শাহাবুল ইসলাম শাওন
ঠাকুরদাস জামতলা বাজার, নাজিরদহ, কাউনিয়া, রংপুর
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময়ে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ডেঙ্গু থেকে বঁচতে বাসায় সকাল-বিকাল অ্যারোসোল স্প্রে করতে হবে, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষকে ফুলশার্ট, ফুলপ্যান্ট এবং হাতে ও পায়ে মোজা পরে থাকতে হবে। দিনে ঘুমালে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। প্রচুর তরলজাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
— শাহনেওয়াজ মোহাম্মদ রুসলান
হক ভিলা, মেরাদিয়া, খিলগাঁও, ঢাকা
ডেঙ্গু রোগ এ দেশে নতুন কোনো বিষয় নয়। এটা প্রতিরোধে মশার লার্ভা ধ্বংস করতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে মশকনিধন অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
— মো. হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী (হিফজু)
হাউজিং এস্টেট, রাজশাহী
বর্তমানে করোনার প্রকোপ না থাকলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে। সারা দেশের মতো রংপুর বিভাগেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে রংপুরে এখন তুলনামূলক কম হলেও পরবর্তী সময়ে যে বৃদ্ধি হবে না, সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই কম থাকতেই সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং নিজেকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডেঙ্গু মশামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সামাজিক সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
— মো. মাসুদ রানা খান
সাতমাথা, মাহীগঞ্জ, রংপুর
ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ প্রতিকার করা সম্ভব। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ এলাকা পরিস্কার রাখা, বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা মেনে চলা, বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্টএইড বাসাবাড়িতে রাখা ইত্যাদি উদ্যোগ নিতে হবে।
— মো. ফিরোজ আহম্মেদ
মিরপুর সেকশন-৬, ঢাকা
ডেঙ্গু রোগ এখন একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান করা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। ডেঙ্গু মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।
— মেনহাজুল ইসলাম তারেক
পার্বতীপুর, দিনাজপুর
বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সাধারণত বর্ষাকালে এডিস মশার বিস্তার বেশি হয়ে থাকে। তাই জনগণকে সচেতন হতে হবে। গণসচেতনতাই পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে।
— মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর
ডেঙ্গু এডিস মশা বাহিত ভাইরাসজনিত একটি রোগ। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। সদাসর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সকলের মধ্যে সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে।
— চয়ন
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
গত বছর এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল না বললেই চলে। এবার সারা দেশে ৫৭টি জেলায় ডেঙ্গু রোগী দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগী ঢাকার। সামনের দুই মাসে ডেঙ্গুর প্রবণতা আরো বাড়বে। তাই ডেঙ্গু সচেতনতায় প্রচার-প্রচারনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি করপোরেশনকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। ঘন ঘন দিতে হবে মশার স্প্রে।
— সৈয়দা পারভীন সুলতানা (বিউটি)
শেখপাড়া, রামচন্দ্রপুর, ঝিনাইদহ
এখন আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মশার কয়েল ও মশারি। আমরা ডেঙ্গুমুক্ত পরিবেশ প্রত্যাশা করি।
— মো. খায়রুল ইসলাম (ফুল)
আরাপপুর, ঝিনাইদহ
ডেঙ্গুতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য বাবা-মায়েরা বেশি চিন্তিত। এজন্য ঘরে দিনরাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো উচিত। মশারির ভেতরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করা বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
— মো. ইফতেখার হোসাইন
হাইমচর, চর ভৈরবী
প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য পাড়া-মহল্লায় এখন থেকে শুরু করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
— আইরিন সুলতানা
মাইজপাড়া, চট্টগ্রাম
এডিস মশা সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু সেরে যায়। তবে শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। এ সময় ঘরবাড়ির ছাদে, ফুলের টব, ফ্রিজে জমানো পানি, পরিত্যক্ত টায়ার ও আশপাশে পড়ে থাকা পাত্রে জমে থাকা পানি খুব দ্রুত ফেলে দিতে হবে। সবাই মিলে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
— শিশির
পিলখানা, ঢাকা
ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ জ্বর। তাই এ সময় জ্বর হলে অবহেলা করা যাবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে এলাকার স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মিত তদারকি করা উচিত।
— তাপস হালদার
চরদুয়ানী, পাথরঘাটা, বরগুনা
ডেঙ্গু জ্বর হলে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। যেমন—স্যালাইন ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস, সুপ ইত্যাদি খেতে হবে। অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বাড়ির ফুলের টব, ফ্রিজে জমানো পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাব-নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল ও আশপাশে পড়ে থাকা পাত্রে জমে থাকা পানি খুব দ্রুত ফেলে দিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
— এস কে মো. রমিজউদ্দিন
আয়কর আইনজীবী, কাকরাইল, ঢাকা
বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহভাবে রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই মশার উপদ্রব থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। এজন্য এডিস মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মশার লার্ভা ধ্বংস করে দিতে হবে। বাসাবাড়িসহ চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে। এই চিকিৎসা সুলভ হওয়া উচিত।
— ফারুক আহমেদ
বাগমারা, রাজশাহী