ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটসের উদ্যোগে আয়োজিত 'ইয়েস গার্লস মুভমেন্ট 'প্রোগ্রামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন খুলনার মেয়ে ব্রততী রায়। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দীর্ঘ ৬ মাস আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন তিনি।
খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রততী। গার্ল গাইডিংইয়ে Julia Mwashi Achievement Award ও Compliance Award পেয়েছেন তিনি।
ব্রততী জানান, ইয়েস গার্লস মুভমেন্টে মূলত ১৮-৩৫ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মসূচি। এখানে ভিন্ন দেশে ভিন্ন পরিবেশে সেদেশের গার্ল গাইডদের সঙ্গে ছয় মাস থেকে একবছর পর্যন্ত কাজ করতে হয়। সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েদের এবং সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়।
দায়িত্বশীল বিশ্বনাগরিক হিসেবে নিজেকে বিকশিত করার অনন্য সুযোগ এটি। ২০১৫ সাল থেকে ১৫টি আফ্রিকান ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশের ২৬৬ জন তরুণী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, ঘানা, নেপাল, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালাউই, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে ব্রততী রায় বলেন, 'বাংলাদেশ গার্ল অ্যাসোসিয়েশনের রেঞ্জার সদস্য হিসেবে গত ১৩ জানুয়ারি উগান্ডায় গিয়েছি। সেখানে সাতদিনের প্রিপারেটরি কোর্স সম্পন্ন করার পর ২১ জানুয়ারি কেনিয়া যাই। গত ছয়মাস কেনিয়া গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশনে বাংলাদেশের একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছি।'
তিনি বলেন, 'মেয়েদের মাসিকের সময়কার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ঐকান্তিকভাবে কাজ করতে হয়েছে। এছাড়া গার্ল গাইডিং মুভমেন্টে নারীর অংশগ্রহণ ও সক্রিয়তা বাড়াতে প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি নারীকে গার্ল গাইডিংয়ে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এরপর গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জুলাই জিম্বাবুয়েতে হোম কামিং সেমিনারে অংশগ্রহণের পর দেশে ফিরেছি। দীর্ঘ এই যাত্রায় বাংলাদেশ ও দেশের সংস্কৃতিকে আফ্রিকার মাটিতে উপস্থাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত।'