উপনির্বাচনে এমপি প্রার্থী হতে চান ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুণ্ডু। তিনি পেশায় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার অংশীদার হতেই এই নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলার হামলাইকোল গ্রামের আভিজাত পরিবারে জন্ম এবং বেড়ে উঠা। ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুণ্ডু লক্ষীকান্ত কুণ্ডুর ছেলে। তারা দুই ভাই উচ্চ শিক্ষিত। পেশাগত কারণে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করলেও এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে রয়েছে গভীর সম্পর্ক।
আগামী ১১ অক্টোবর এখানে ভোট গ্রহণ হবে। নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসন থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় প্রতীক চেয়েছেন। তার মনোনয়ন সংগ্রহের কারণে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে উদ্দীপনা ও আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানালেন, ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুণ্ডু পেশায় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুণ্ডুর শিক্ষা জীবন বর্ণাঢ্য। তিনি গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স এবং এলএলএম ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে ইংল্যান্ডের নর্দামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স, সিটি ইউনিভার্সিটি (লন্ডন) থেকে বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে ইংল্যান্ডের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এট-ল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন।
পেশার বাইরেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মনোনীত হয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক বিপুল ভোটে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্যারিস্টার সুব্রত কুণ্ডু। সাবেক এমপ্লয়মেন্ট সেক্রেটারি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুক্তরাজ্য শাখা, প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি, আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয় শাখার সাবেক সক্রিয় কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা।
রাজনীতি ও আইন পেশার দক্ষ সুব্রত কুমার কুণ্ডু ইত্তেফাককে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু, উড়ালসড়ক, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে ব্যাপক আকারে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার সুব্রত কুণ্ডু বলেন, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা বিকশিত হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিতে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার প্রবল অভিপ্রায় থেকেই নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের নানামুখী আধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে, বেকারত্ব দূরীকরণে সময়োপযোগী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। যাতে করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সকল দিকে সমানতালে এগিয়ে যায় সব মানুষ। এসব ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি নয়, উন্নয়নই লক্ষ্য হিসেবে কাজ করতে চাই।
ব্যারিস্টার সুব্রত দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করে আরও বলেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে দলকে সুসংগঠিত করে একটি গতিশীল আধুনিক ও জ্ঞান-নির্ভর আওয়ামী লীগ গঠন করা হবে। পাশাপাশি গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামে নতুন শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, হতদরিদ্রদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, স্বপ্ল সময়ে নাগরিক সুবিধার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল গঠনে কাজ করবেন তিনি।