শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দক্ষিণাঞ্চলের আট নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩০

পূর্ণিমা ও লঘু চাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের আট নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপদসীমার সমান্তরাল ও কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমা দশমিক ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি দশমিক ৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার, উমেদপুর কচা নদীর পানি দশমিক ৯ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, ভোলা খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, মির্জাগঞ্জ বুড়িশ্বর, আমতলী বুড়িশ্বর, স্বরূপকাঠি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রবিবার রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে আটটি নদীর পানি বেড়েছে। তবে, দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদনদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি।’

ইত্তেফাক/এমএএম