বেশ কিছু ফিলিস্তিনি ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে 'সন্ত্রাসী' যোগ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ইনস্টাগ্রাম। অটো-ট্রান্সলেশনে (স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ) ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছে মূল কোম্পানি মেটা। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানায়।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ৪০৪ মিডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে সর্বপ্রথম এমন তথ্য উঠে আসে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলে ইংরেজিতে ফিলিস্তিনি শব্দটির উল্লেখ আছে। ফিলিস্তিনের পতাকা ইমোজির সঙ্গে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দটি ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে’–এই ইংরেজি বাক্যে অনূদিত হয়।
ওয়াইটিকিংখান নামের এক টিকটক ব্যবহারকারী সমস্যাটি নিয়ে পোস্ট করেন জানান, অনুবাদে ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি চলে আসে। এর নিচে একজন মন্তব্য করেন, এটা কি রসিকতা! আমি মানতে পারছি না, আমি হতবাক!
এ ঘটনার জন্য মেটা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে ভিডিও প্রকাশের পর ইনস্টাগ্রাম এই সমস্যার সমাধান করেছে। এখন শব্দটি ইংরেজিতে ‘থ্যাংক গড’–এই বাক্যে অটো ট্রান্সলেট হয়।
ইলেকট্রনিক ফ্রনটিয়ারসের সেক্রেটারি ফাহাদ আলী বলেন, ঘটনাটি কীভাবে হলো এ সম্পর্কে মেটা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। এসব ডিজিটাল পক্ষপাতমূলক আচরণ কোথা থেকে উদ্ভব হচ্ছে সেটিই আসল দুশ্চিন্তার বিষয়।
সাবেক এক ফেসবুক কর্মী গার্ডিয়ানকে বলেন, এই ঘটনা অনেক মানুষকে খেপিয়ে তুলেছে।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের শুরু থেকেই মেটা ফিলিস্তিনিদের পোস্ট সেনসর করছে বলে অভিযোগ এসেছে। ফিলিস্তিনি সমর্থনকারী অ্যাকাউন্টগুলোকে শ্যাডো ব্যানিং বা কনটেন্ট ডিমোট করছে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা পোস্ট করতে পারবে, কিন্তু অন্যরা তা দেখতে পারবে না বা অন্যদের ফিডে পোস্টগুলো যাবে না।
গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে মেটা বলেছে, ইসরায়েলে ও হামাসের যুদ্ধের শুরু থেকেই ‘ক্ষতিকর কনটেন্টের বৃদ্ধি চিহ্নিত করতে এবং এসব কনটেন্ট যেন না ছড়ায়’ এ জন্য কোম্পানি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। মেটা কারও কণ্ঠ বন্ধ করেছে এমন কোনো প্রমাণও নেই।
কোম্পানিটি দাবি করছে, এ সপ্তাহে বাগের কারণে ব্যবহারকারীর স্টোরিতে শেয়ার করা ইনস্টাগ্রাম রিল ও স্টোরি দেখা যাচ্ছিল না। ইসরায়েল ও গাজা সম্পর্কিত পোস্ট সীমিত করা হয়নি।