রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ভেদরগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর হয়েছে।  

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

আহতদের উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শরীয়তপুর সদর, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। এতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন নুরুল আমিন দেওয়ান। আর পরাজিত হন চশমা প্রতীকের এইচএম কামরুল ইসলাম, মোটরসাইকেল প্রতীকের ফজলুল হক (কাওছার মোল্লা) ও ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল হাই খাঁন। নির্বাচনের পর থেকে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খার বাড়িতে হামলা চালায় ওই পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। 

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পরাজিতরা কয়েকদিন ধরে মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছে। ওরা আমার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে আহত করেছে।

তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম কামরুল ইসলাম বলেন, কারা কারা এ সংঘর্ষ করেছে আমি জানি না। তা ছাড়া কী নিয়ে মারামারি তাও বলতে পারছি না। 

সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত তিন প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

ইত্তেফাক/পিও