শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সালিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নিহত

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ২১:১৩

বরিশালে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধা নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বন্দর থানায় পাচঁজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহত বৃদ্ধার নাতি জুলহাস খান।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার (১৭ মে) বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার (১৬ মে) রাতে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহত বৃদ্ধার নাম রাবেয়া বেগম (৭০)। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের স্ত্রী। শুক্রবার (১৬ মে) রাতে সালিশ বৈঠকে তিনি হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে শনিবার শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মামলাসূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার কয়েকদিন আগে বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঘর উত্তোলন শুরু করেন নিহত বৃদ্ধাসহ তার স্বজনরা। এসময় প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদ, তার ছেলে বানারীপাড়া ভ‍ূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন ঘর উঠাতে বাধা দেয়। এ দ্বন্দ্ব নিরসনে শুক্রবার (১৬ মে) রাতে বৃদ্ধার নিজ বাড়িতে সালিশ বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। এসময় নিহত বৃদ্ধাসহ তার স্বজনরা শালিস মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ তা অমান্য করে। এরপর বৈঠক শেষে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নিহত হন এবং পাঁচজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। 

মামলার বাদী জুলহাসের অভিযোগ, ঢাকায় বসবাসরত তার মামা কামাল হাওলাদার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন শুরু করেন। এসময় একই বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদসহ তার ছেলে বানারীপাড়া ভূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদার, অপর ভাই লিজন, নান্টুসহ অন্যান্যরা বাধা দেয়। এ বিরোধ মেটাতে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে স্থানীয় সমাজসেবক সুমন হাওলাদার ও শহিদ খানসহ অন্যান্যরা সালিশ বৈঠকে বসেন। এসময় কামাল সালিশদারদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ তা অমান্য করে। এরপর বৈঠক শেষে অভিযুক্তরা হামলা চালিয়ে রাবেয়া বেগম, লিমা বেগম, রুমা বেগম, কামাল হাওলাদার ও জুলহাস খানকে আহত করে। আহতদের মধ্যে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (শনিবার) তিনি মারা যান। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুজন হাওলাদারের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। 

বরিশাল বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসএস/এমএস