বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ধর্ষককে ক্রসফায়ারে মারার দাবি সংসদে

আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৪৯

ধর্ষককে ক্রয়ফায়ারে মারার দাবি উঠেছে সংসদে। মঙ্গলবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু এই দাবি জানালে তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে বাসে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখানে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়। তারপর ভারতে ধর্ষণের ঘটনা কমে যায়। কাজেই আমি অন্য দুই সদস্যের (জাপার) সঙ্গে একমত। আমি যদি চিনি যে উনি ধর্ষক, সেই একাজ করেছে তাহলে তার আর এই পৃথিবীতে থাকার অধিকার নেই।

 

তোফায়েলের আগে জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টাঙ্গাইলে বাসে ধর্ষণের পরপর পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করল। সেদিন যদি পুলিশ ৫ জনকে মধুপুরে নিয়ে গুলি করে মারত, তাহলে কিন্তু আবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটতো না। তিনি বলেন, একটার পর একটা ধর্ষণ হচ্ছে। মেয়েরা বাসে ওঠে, ওই বাসে আগে থেকেই ৪-৫ জন থাকে। নারীরা ওঠার পর দেখা যায় যাত্রী না ওরা ধর্ষক। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হোক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, সেখানে গুলি করে মারা হোক।

 

ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি এনকাউন্টারে দিয়ে মেরে ফেলা। যাতে আর কোনো ধর্ষক যেন সাহস না পায়। ধর্ষক গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে ওইখানে গুলি করে মেরে ফেলা হোক।

আরো পড়ুন : ‘পূজার দিন ভোট নয়’ দাবিতে অবরুদ্ধ শাহবাগ

বিষয়টির অবতারণা করে জাপার মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঢাবির ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলো। ধর্ষণের পর যদিও দ্রুত সেই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই গ্রেফতার নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের পরপরই সাভারে একজন ধর্ষিত হয়, সেখানে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়। এরপর ধামরাইতে একই ঘটনা ঘটে। পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ২০১৯ সাল ধর্ষণের মহোৎসব। এটা সঠিক।

 

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কেন ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে, এ  থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? এজন্য সংসদে ২ ঘণ্টা আলোচনার দাবি করছি। চুন্নু বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ধর্ষণ কন্ট্রোল হচ্ছে না। তাই সময় এসেছে, চিন্তা করার। ধর্ষণের দায়ে যদি প্রমাণ হয়, তার সাজা যাবজ্জীবন না দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করা হোক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, মাদকের জন্য এতো ক্রসফায়ার হচ্ছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে আজ পর্যন্ত কেন একজনও বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় না?

 

 

ইত্তেফাক/ইউবি