বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ

আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১৩

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ভোলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোলা জেলার সর্বত্র রাস্তা-বেরিবাধে স্বেচ্ছাসেবকদের  প্রচার প্রচারণা ও মাইকিং চলছে । চরাঞ্চলের লোকদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে।

শুরুতে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে না চাইলেও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকে আসতে শুরু করেছে। জেলায় ৬৬৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভোলার সকল রুটে লঞ্চ চলাচল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভেদুরিয়া-লাহার হাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলায় প্রশাসনের ৮ টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে।

আরো পড়ুন: ১৪ জেলায় ১২০ কি.মি. বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে

এদিকে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক শুক্রবার সন্ধ্যার পর জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা আছে । সরকারি কোষাগার থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ২০ মেট্রিক টন চাল এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে । প্রয়োজনে আরো ত্রাণ সামগ্রি আনা হবে। শনিবার দুপুর ১২ টার মধ্যে চরাঞ্চলের সকল মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে ।

বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো: কামরুজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে ভোলার  সকল নৌযানবাহন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে সন্ধ্যার পর ভোলা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো ছেড়ে গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র ভোলাস্থ ফেরি ইনচার্জ মো. এমরান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভেদুরিয়া-লাহার হাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলা জেলায় কোথাও হালকা কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভোলা সংলগ্ন মেঘনা তেতুলয়া নদী উত্তাল রয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে পানির উচ্চতা।

ইত্তেফাক/এমআরএম