বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গৃহবধূর যৌনাঙ্গে কাদা বালি ঢুকিয়ে হত্যার পর দায় চাপানো হয়েছিল জিন-ভূতের ওপর

আপডেট : ৩০ মে ২০২০, ১৯:২৫

নীলফামারীতে গৃহবধূ মিনা ওরফে সাথী হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মিনা দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার শিবরামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া এলাকার মৃত ভোম্বল ঋষির মেয়ে।

শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মামলার বিস্তারিত তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। 

পুলিশ সুপার জানান, দুই বছর আগে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের হালিরবাজার এলাকার গণেশ রায়ের ছেয়ে তিমোথিয়ের সঙ্গে মিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিলো। এনিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য শালিসও হয়। তদন্তে দেখা গেছে, স্বামীর অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক, সন্তান না নেওয়ার অনিহা এবং শ্বশুরের কুপ্রস্তাবের কারণে বুধবার রাতে বাবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মিনা। এরই মধ্যে স্বামী তিমোয়িথ শাশুড়ি শিউলি ও কাকি শাশুরি মিনতি রানী ঘটনাস্থল থেকে মিনাকে ধরে মুখে ও যৌনাঙ্গে বালু কাঁদা ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বিএনপি নেতার লাশ দাফনে এগিয়ে এলো ছাত্রলীগ

ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা অত্যন্ত চতুরভাবে গৃহবধূকে হত্যা করে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। তার জিন-ভূতের আছর রয়েছে বলেও প্রচার করে। ঘটনার পর থেকে নীলফামারী থানা পুলিশ, জেলা পুলিশের একটি টিম, সিআইডি’র তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় হত্যার সঙ্গে তারাই জড়িত এবং পারিবারিক কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। মিনার ভাই সুকুমার ঋষি বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শ্বশুর গণেশ রায়কেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৮মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সদরের খোকশবাড়ি ইউনিয়নের হালিরবাজার এলাকার মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে গৃহবধূর অর্ধ উলঙ্গ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

ইত্তেফাক/এসি