শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া নারীকে কীর্তনখোলা নদী থেকে উদ্ধার

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৩

কীর্তনখোলা নদী থেকে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে জেলেরা। উদ্ধারের পর স্থানীয় ইউপি সদস্যের তদারকিতে তাকে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের মক্রমপ্রতাপ গ্রামের জেলে আলাম চৌকিদারের বাড়িতে রাখা হয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকাগামী লঞ্চ সুন্দরবন-১০ কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকা অতিক্রম কালে লঞ্চের পেছনের দিক থেকে ওই নারী পা পিছলে নদীতে পড়ে যান। 

কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম ফাল্গুনী (৩৫)। তার বাড়ি ভোলার লালমোহন এলাকায়। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শনিবার রাত ৯টায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ডেক যাত্রী ছিলেন ফাল্গুনী, তার মা ও খালা।

সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার সন্ধানে লঞ্চটি দিক পরিবর্তন করে নদীর ওই স্থানে গিয়ে সার্চ লাইট মেরে মাইকিং করা হয়। কিন্তু তার কোনো অস্তিত্ব না পাওয়ায় মাইকিং করে আশপাশের বাসিন্দাদের খবরটি জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে লঞ্চটি ফের ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। 

লঞ্চটি অনেক দূরে চলে যাওয়ার পর পুলিশ লঞ্চের মোবাইল ফোনে কল করে জানায় ওই নারীকে পাওয়া গেছে। 

ওই নারীকে নদী থেকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া আলাম চৌকিদারের প্রতিবেশী মো. কালাম জানান, আলাম চৌকিদারসহ দুইজন নৌকায় কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই পয়েন্টে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিলো। হঠাৎ দেখেন নদীর মধ্যে একজন মানুষ হাবুডুবু খাচ্ছেন। কাছে গিয়ে সালোয়ার কামিজ পড়া এক নারীকে প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে খবরটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাই। কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ওই নারী জানান তার নাম ফাল্গুনী। তিনি লঞ্চের পেছনে পা ধোয়ার সময় পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন।  

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্য বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিতে প্রস্তুত আছি: নিক্সন চৌধুরী

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জুয়েল জানান, আলাম চৌকিদার তাকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি খবরটি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। 

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম জানান, খবরটি সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার স্বজনদের জানানো হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার হবে। 

ইত্তেফাক/এসি