শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রুপা হত্যার দুই বছর: জীবদ্দশায় রায় কার্যকর দেখতে চান মা

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৩:৫০

বহুল আলোচিত জাকিয়া সুলতানা রুপা হত্যার আজ দুই বছর। জীবদ্দশায় আসামিদের রায় কার্যকর দেখতে চান রুপার মা ও তার পরিবার। রবিবার সকালে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে বুকে কালো ব্যাচ ধারন করে আসামিদের বিরুদ্ধে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে এক মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

রুপার মা হাসনাহেনা বেগম (৫৭) বলেন, মা আর অসহায় ভাই-বোনদের জন্য সবকিছু করার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করত রুপা। স্বপ্ন দেখতো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন বড় কর্মকর্তা হবে। এখন একটাই দাবি দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

এদিকে মানবন্ধনে দাঁড়ানোর পূর্বে প্রেসক্লাব হলরুমে বসে ব্যানারে তার মেয়ে নিহত রুপার ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই সাথে বিলাপ করতে থাকেন আর রুপার ছবিতে বার বার চুমো খেতে থাকেন। এ সময় তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: ওএসডি হলেন জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীর

রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এরপর গত ১৯ মাসেও চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি শুরু হয়নি। নিম্ন আদালতে দ্রুততম সময়ে মামলার রায় ঘোষণায় আমরা সন্তুষ্ট  ছিলাম। তবে উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আপিলের পর মামলাটি গত দেড় বছর ঝুলে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছি।

হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি পরিবারকে দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তাও কার্যকর করা হয়নি। বিচারের সর্বশেষ পর্যায়ে যেতে কতদিন সময় লাগবে জানা নেই। ততদিনে হয়তো বাসটি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও ক্ষীণ। রুপার মায়ের সাথে মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় রুপার ছোট ভাই উজ্জল হোসেন ও তার স্ত্রী  টুম্পা খাতুন।

প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরিচয় না মেলায় ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি শনাক্ত করেন যে, অজ্ঞাত যুবতীই তার ছোট বোন ও ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপা। ৩১ আগস্ট রুপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঐদিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রুপার লাশ তার গ্রাম আসানবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত রুপা আসানবাড়ি গ্রামের মৃত জেলহাজ প্রামানিকের মেয়ে ।

ইত্তেফাক/এমআরএম