বর্তমানে নারীরা সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা পর্যন্ত করছে। তবে অনেকক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কখনো আটকে যাচ্ছে পদোন্নতি, কখনো বা পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় কম বেতন পাচ্ছেন নারীরা।
একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সুস্মিতা দাস বলেন, নারীরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও পুরুষের তুলনায় কম বেতন পান। অনেক সময় পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়। এমনকি পুরুষ সহকর্মীরা কখনো কখনো অবৈধ প্রস্তাব দেয়। যারা সদ্য মা হয়েছে, তারা তাদের সন্তানকে ঘরে রেখে আসে। কর্মক্ষেত্রে যদি শিশুদের রাখার স্থান থাকতো তাহলে নারীরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারতো। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষার জন্য নীতিমালা প্রয়োজন।
ব্যাংক কর্মকর্তা আসমা বলেন, সম্প্রতি পদোন্নতি হওয়াতে পুরুষ সহকর্মীরা বাঁকা চোখে দেখছে। তারা গুজব রটিয়েছে, বসের সঙ্গে 'অন্য সম্পর্ক' থাকায় আমার পদোন্নতি হয়েছে। এসব মন্তব্যে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছি। একটি মেয়ে কি তাঁর যোগ্যতা দিয়ে সর্বোচ্চ পদে পৌঁছতে পারে না?
এনজিও কর্মকর্তা সানজিদা খান বলেন, আমাদের সংস্থায় এই বৈষম্য নেই। পুরোটাই যোগ্যতার ভিত্তিতে করা হয়। তবে একথা ঠিক, অনেক অফিস নারী নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। বৈরী কর্ম পরিবেশে অনেক নারী চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বিভিন্ন এনজিও নারীদের অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে এবং নারীদের মধ্যে এসব ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।