এবার হুমায়ূন আজাদ দিবস উপলক্ষে পাইরেসিমুক্ত বইমেলার ডাক দিয়েছে লেখক প্রকাশক পাঠক ফোরাম। এই উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি হুমায়ূন আজাদ দিবসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বাংলা একাডেমিতে।
২০০৪-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার সময় মৌলবাদীরা চাপাতি দিয়ে আক্রমণ ক’রে হুমায়ূন আজাদকে গুরুতর আহত করে, কয়েক দিন মৃত্যুর মধ্যে বাস ক’রে তিনি জীবনে ফিরে আসেন। তাঁর জন্যে সারা বাঙলাদেশ এমনভাবে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলো, যা আর কখনো ঘটেনি। তিনি ৭ আগস্ট ২০০৪ কবি হাইনরিশ হাইনের ওপর গবেষণাবৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান। এর পাঁচদিন পর ১২ আগস্ট ২০০৪ মিউনিখস্থ ফ্ল্যাটের নিজ কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর প্রকাশিত বই ৭৪-র অধিক। সব বইয়ের প্রকাশক আগামী প্রকাশনী।
বাঙলাদেশের প্রধান প্রথাবিরোধী, সত্যনিষ্ঠ, বহুমাত্রিক লেখক; কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকর, কিশোরসাহিত্যিক, যাঁর রচনার পরিমাণ বিপুল। জন্ম ১৪ বৈশাখ ১৩৫৪; ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭, বিক্রমপুরের রাড়িখাল। ডক্টর হুমায়ুন আজাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা বিভাগের অধ্যাপক ও সভাপতি।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবারের স্মরণসভার প্রতিপাদ্য ‘পাইরেসিমুক্ত বইমেলা চাই’। এই স্মরণ সভায় লেখক প্রকাশক পাঠকরা উপস্থিত থাকবেন।