আতিথেয়তা যেন ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। আধুনিক বিশ্বে ব্যস্ততার চাপে পাশের মানুষের জন্যেও আমাদের কাছে সময় থাকে না। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষগুলো যুগ যুগ ধরে মানবতার এক অদ্ভুত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তাদের অতিথিপরায়ণতায় মুগ্ধ সবাই। যে পর্যটকেরা একবার হলেও কাশ্মীরের গেছেন, তারা সারাজীবন এখানকার সুখময় স্মৃতি রোমন্থন করেছেন।
কাশ্মিরের সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতির প্রশংসা করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে এবার তাদের অতিথিপরায়ণতা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। যে পর্যটকেরা থাকার জন্য হোটেলকক্ষ কিংবা আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন না, তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকেরা। তাদের সঙ্গে গড়ে তোলেন এক সুন্দর পারিবারিক সম্পর্ক।
এমনকি কোন ধরনের টাকা ছাড়াই এমন পর্যটকদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয়রা। তাদের লক্ষ্য একমাত্র মানবজাতির সেবা করা এবং অতিথিরা যেন নিরাপদে কয়েকটা দিন কাশ্মীরে কাটাতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
কাশ্মীরের এ আতিথেয়তার জন্যে অনেক পর্যটক উপত্যকার তুষারপাত থেকে রক্ষা পান। পূর্বেও তুষারঝড়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করতে নিজের জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছিলেন এখানকার গাইড এবং স্থানীয় লোকেরা। এগুলোর মাধ্যমেই বোঝা যায় কাশ্মিরের মানুষদের মন ঠিক কতোটা পবিত্র।