দিন দিন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা বাড়ছে। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়াবহতা তাকে ভাবিয়ে তোলে এবং বয়স অল্প হলেও জলবায়ু নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলায় একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি জলবায়ু নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যুধিষ্ঠির চন্দ্র বিশ্বাস। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে তার বাড়ি।
যুধিষ্ঠির ইয়ুথনেট গ্লোবাল’র গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যুক্ত আছেন। ইয়ুথনেট গ্লোবাল’র ২০টি দেশে ৩০০ জন বৈশ্বিক ইয়ুথ কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুবিচার আদায়ের জন্য। ইতিমধ্যে যুধিষ্ঠির জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডায়ালগে অংশ নিয়েছেন। UNICEF, UN Women, UNFPA, UNESCO, UNDP’র মতো সংস্থার সাথে তিনি ডায়লগে অংশ নিয়ে জলবায়ু বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রেটা থুনবার্গের ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের সাউথ এশিয়ার রিজনাল চ্যাপ্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ফাউন্ডার হিসেবে কাজ করছেন। জাতিসংঘ স্বীকৃত জলবায়ুভিত্তিক যুব সংগঠন ‘Mock COP’ সংস্থার ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট তিনি।
যুধিষ্ঠির ১৬ বছর বয়সে বৈশ্বিক প্রভাব সৃষ্টি ও জলবায়ুর বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৪৫ ইউনিটের মাধ্যমে তিনি দেশের ৪৫ জেলায় একযোগে কাজ করছেন। তাদের কাজের সঙ্গে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও প্রতিবন্ধীসহ সকল লিঙ্গের মানুষ সম্পৃক্ত আছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি জলবায়ু নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও সবকিছু ম্যানেজ করে নেন তিনি। এক্ষেত্রে পরিবার তাকে সাপোর্ট দেয়।
যুধিষ্ঠির বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হতে চলেছে! আমি কিভাবে বসে থাকি? তাই এ বিষয়ে ন্যায়বিচার, যুবদের ক্ষমতায়ন এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। ভবিষ্যতেও বাসযোগ্য সবুজে ঘেরা পৃথিবীর লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই।’