বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

উপস্থিতি কম থাকায় শেকৃবিতে অনিশ্চিত ১০ শিক্ষার্থীর ভর্তি

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৭

ক্লাস-পরীক্ষায় উপস্থিতি জনিত জটিলতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) দশ শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকায় তাদের ভর্তি বাতিল হয়ে গেছে। স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কায় থাকা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মানবিক দিক বিবেচনা করে পুনরায় ভর্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া কৃষি অনুষদের ৬ জন, ফিসারিজ-অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ২ জন, এগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ১ জন এবং অ্যানিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ব্যাচের সাথে ক্লাস করতে না পারায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পুনরায় ভর্তি হওয়ার আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিতি না থাকায় তাদের ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ায় ভর্তি নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শেকৃবিতে প্রথম বর্ষে পুনরায় ভর্তির ক্ষেত্রে উপস্থিতি জনিত জটিলতার কারণে ছাত্রত্ব বাতিলের ঘটনা আগে ঘটেনি।

নিয়মের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, ‘লেভেল-১, সেমিস্টার-১ শিক্ষার্থীদের পুনঃভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১তম একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়। যেসকল শিক্ষার্থী ৭০ শতাংশের কম উপস্থিত থাকবে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে।’ ভর্তি বাতিল হওয়া দশ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ তারিখে একাডেমিক কাউন্সিল মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, পরিবর্তিত নিয়ম সবাই ঠিকভাবে জানে না। শিক্ষার্থীদের নোটিশও দেওয়া হয়নি। এ বছর ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। 

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘পুনরায় ভর্তি হতে হলে অবশ্যই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কোর্সে অন্তর্ভুক্ত সব ডিপার্টমেন্ট মিলে ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে এবং ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পুনরায় ভর্তি হওয়ার জন্য তাদের করা আবেদন পত্র জমা নিয়েছি। একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী মিটিং অনুযায়ী তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ 

এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘৭০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে ভর্তি অটোমেটিক বাতিল। ডিনের একার কিছু করার নেই। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকল ডিনদের মিটিং আছে, সেখানে আলোচনা হবে। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘আমার অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারিনি। তবে উপস্থিতির জন্য ভর্তি বাতিল হবে এটি আমরা জানতাম না, কোনো নোটিশও পাইনি। সংকটময় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন মানবিক সিদ্ধান্ত  না নিলে আমাদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এখানেই শেষ হয়ে যাবে।’  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে অবগত নই। এগুলো ডিনদের দায়িত্ব, তারা দেখবেন। আমাকে জানালে একাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

ইত্তেফাক/এআই